ঢাকা, ৭ অক্টোবর: মঙ্গলবার স্টেট গেস্ট হাউজ যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বেরিস একিনচি।
সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত একিনচি বলেন, “বাংলাদেশে এটি আমার প্রথম সফর,” এবং তার প্রতিনিধিদলকে দেওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তুরস্কের মহামান্য প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে তুরস্ক সফরের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে তার আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেন।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন যে তিনি নিকট ভবিষ্যতে তুরস্ক সফর করতে পেরে আনন্দিত হবেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা আমাদের সম্পর্ককে আগের চেয়ে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এটি একটি নতুন সূচনা, এবং আমাদের দুই দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তির মতো বহু ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে পারে।”

প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লবের সময় আহত সাতজন বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়ার জন্য তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত একিনচি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তুরস্কের অব্যাহত সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “তুরস্ক সবসময় শিক্ষাকে উৎসাহিত করে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিনিময় কর্মসূচির পাশাপাশি বৃত্তিও প্রদান করে থাকে।”
এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, এবং পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস উইংয়ের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।