এবারে নির্বাচনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসছে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের ব্যবহার।
১.
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষত এ আই এর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য, অপ তথ্য ছড়ানো ও তার মোকাবেলা কে অন্যতম সমস্যা হিসেবে অনেকে চিহ্নিত করছেন।
এটি ঠিক ।
এই চ্যালেঞ্জ অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে।
কিন্তু ইতিমধ্যে এবারে নির্বাচনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসছে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের ব্যবহার। যা চলছে অবাধে।
এটি মোকাবেলা করা অন্যতম কাজ।
২.
নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানো ও ভোট দেওয়ার সম অধিকার নিশ্চিত করা অন্যতম কাজ।
এরমধ্যে ভোটে দাঁড়ানোর সম অধিকারের আলোচনা সামনে আসে না।
এবারে নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং আইনি খরচের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
টাকা ছাড়া ভোটে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করাই যায় না।
টাকা নেই এমন ভালো, যোগ্য মানুষ নির্বাচন করবেন কি ভাবে ?
৩.
নির্বাচন বিধিমালার কথা বলা হয় । এর মধ্যে অন্যতম হলো নির্বাচনী আচরণবিধি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষিত হওয়ার পর এ বিষয়ে কিছুটা হয়তো দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু এখনই চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন আচরণবিধি বলে কোন জিনিস নাই। যার যার মত প্রচার ও প্রপাগান্ডা যে ভাবে করছে তা কোনোভাবেই আচরণবিধির সাথে যায় না।
আমরা অনেকদিন ধরে বলে আসছি আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি হচ্ছে না এটি নির্বাচন কমিশন কে দেখতে হবে বছরের ৩৬৫ দিন ধরে। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
৪.
সাধারণভাবে বোঝার জন্য আমরা বলি নির্বাচনকে কতকগুলো শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।
তার মধ্যে একটি হল টাকার খেলা, দ্বিতীয়টি হল পেশি শক্তি, তৃতীয় হল সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার, চতুর্থ হলো ভয়ের রাজত্ব ও পঞ্চমত প্রশাসনিক কারসাজি।
সিরিয়াল যেকোনোভাবে বিবেচনা করতে পারেন।
কিন্তু এসব শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা ছাড়া নির্বাচনকে অবাধ গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু করা যাবে না।
এছাড়া নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ও সরকার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কি ভূমিকা রাখছে ???
— রুহিন হোসেন প্রিন্স
খুলনা।২৬ নভেম্বর ২০২৬ ।



