কক্সবাজার (টেকনাফ), ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই মনোরম দ্বীপটিতে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। পরিবেশ সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবার প্রতিদিন সেন্টমার্টিনে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২,০০০ (দুই হাজার) পর্যটক এই দ্বীপে যেতে পারবেন।

প্রথম দুই মাস ‘ডে-ট্যুর’ বাধ্যতামূলক
পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই পরিবেশের উপর চাপ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ১ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত খোলা থাকবে।
নভেম্বর ও ডিসেম্বর: এই প্রথম দুই মাস পর্যটকদের জন্য ‘দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা’ (ডে-ট্যুর) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই সময়ে কোনো পর্যটক দ্বীপে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। দিনের শেষে জাহাজ বা ট্রলারে করে সবাইকে ফিরে আসতে হবে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি: এই দুই মাসে পর্যটকরা দ্বীপে রাত্রিযাপন করার সুযোগ পাবেন।

পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নজরদারি
পরিবেশবিদরা দীর্ঘদিন ধরে সেন্টমার্টিনের অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। এই নতুন বিধিনিষেধকে পরিবেশ সুরক্ষার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্বীপে প্লাস্টিক ও একবার ব্যবহারযোগ্য দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি রাখা হবে এবং কোনো ধরনের পরিবেশবিরোধী কাজ বরদাশত করা হবে না।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং আশা করছেন, নতুন নিয়মাবলী মেনে চলার মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রেখেই পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।