বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার-এর সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণে তারা মঙ্গলগ্রহে সম্ভাব্য বজ্রপাতের চিহ্ন পেয়েছেন। রোভারটির মাইক্রোফোনে ধরা পড়া শব্দে গবেষকেরা মোট ৫৫ বার ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ বা “মিনি লাইটনিং” শনাক্ত করেছেন।
ফরাসি নেতৃত্বাধীন গবেষক দল জানায়, প্রায় চার পৃথিবী বছরের সমান দুই মঙ্গল বছরের পর্যবেক্ষণে এই ঘটনাগুলো দেখা গেছে—মূলত ধূলিঝড়ের সময়। মাত্র কয়েক ইঞ্চি আকারের এই বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গগুলো রোভারটির মাস্ট থেকে প্রায় ৬ ফুট দূরে সংঘটিত হয়।
গবেষণার প্রধান লেখক বাতিস্ত শিদে বলেন, “মঙ্গলে বৈদ্যুতিক সক্রিয়তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অর্ধশতাব্দী ধরে অনুসন্ধান করছেন। এটি যেন হারানো পাজলের একটি টুকরো খুঁজে পাওয়া।”
তবে কিছু বিজ্ঞানী সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল মিচার্ড বলেন, প্রমাণ শক্তিশালী হলেও এটি একটি মাত্র যন্ত্রের মাধ্যমে শোনা তথ্য; তাই আরও মিশন পাঠিয়ে যাচাই প্রয়োজন।
বৃহস্পতি ও শনি গ্রহে বজ্রপাত আগে থেকেই নিশ্চিত, আর মঙ্গলেও এটি থাকতে পারে বলে বহু বছর ধরে ধারণা ছিল। পারসিভিয়ারেন্স রোভার ২০২১ সাল থেকে প্রাচীন নদী ডেল্টা অঞ্চল অনুসন্ধান করছে এবং সম্ভাব্য প্রাচীন জীবনের চিহ্ন পেতে শিলা নমুনা সংগ্রহ করছে। তবে এই নমুনাগুলো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার নাসার পরিকল্পনা বর্তমানে বাজেট সংকটে স্থগিত রয়েছে।
গবেষকদের মতে, এই সম্ভাব্য বজ্রপাতের আবিষ্কার মঙ্গলবিজ্ঞান গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।



