গাজায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ৮০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং এই সময় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৩০ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে তারা এসব হামলা চালিয়েছে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে গাজায় যুদ্ধবিরতি “এখনও কার্যকর আছে” এবং যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি “অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ” রাখার জন্য কাজ করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি দুই ইসরায়েলি সেনার মৃত্যুর জন্য হামাসকে দায়ী করা হলেও, আসলে তা একটি ইসরায়েলি বুলডোজার দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরণ ঘটার ফল।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, “গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রয়োজন, যাতে নিশ্চিত করা যায় হামাস সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র হয়েছে।”
ইসরায়েলি নীতির সমালোচনায় ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় তিনি ও জ্যারেড কুশনার “প্রতারণার শিকার” হয়েছেন বলে মনে করেন।
অন্যদিকে, লেবাননের আল মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, লেবাননের পূর্ব সীমান্তবর্তী কফারশুবা শহরের দিকে ইসরায়েলি বাহিনী ভারী মেশিনগান দিয়ে ফায়ারিং করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল প্রতিদিনই লেবাননের আকাশসীমা ও সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।
এছাড়া, ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের কাছে প্রায় ৭০ একর জমি দখল করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের উপনিবেশ ও প্রাচীর প্রতিরোধ কমিশন।
সর্বশেষ ঘটনাগুলোতে স্পষ্ট হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও সংঘাত পুরোপুরি থামেনি এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।



