ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার হামাসের আনুষ্ঠানিক জবাব, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত
হামাস জানিয়েছে যে তারা গাজা নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে আনুষ্ঠানিক জবাব জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে তারা সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি গাজার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট কমিটির হাতে হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যাতে এ চুক্তির বিস্তারিত বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়।” তারা আরও জানায়, গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আলোচনা হবে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। ভোর থেকে শুরু হওয়া বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছে ৪২ জন। ইসরায়েলি বাহিনী রিমোট-কন্ট্রোল বিস্ফোরকবাহী যান ব্যবহার করে পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৬,২৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১,৬৯,১৬৫ জন আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আরও হাজারো মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলে ওই আক্রমণে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার এক বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর জন্য “একটি সুযোগের জানালা খুলে দিয়েছে”। তিনি জানান, জাতিসংঘের কাছে ১ লাখ ৭০ হাজার টন খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয় সামগ্রী প্রস্তুত আছে, যা সীমান্ত খোলার সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো যাবে।
ফ্লেচার বলেন, “এই দুঃস্বপ্ন অনেক দীর্ঘ হয়েছে। প্রতিটি বিলম্ব আরও কষ্ট বাড়াচ্ছে। এখনো আমাদের হাতে এক সুযোগ আছে, যদি সব পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত করে।”
জাতিসংঘের হিসাবে, দীর্ঘ অবরোধ ও সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার কারণে গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষ চলছে।