দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী জি-২০ নেতাদের বার্ষিক সম্মেলন, যা প্রথমবারের মতো কোনো আফ্রিকান দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠক বয়কট করলেও আয়োজকরা বলছেন, বৈশ্বিক নেতাদের অংশগ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই এগোচ্ছে।
৪২টি দেশ ও সংস্থা এ বছরের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে, যদিও অন্তত ছয়জন রাষ্ট্রপ্রধান ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি সবচেয়ে আলোচিত—ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে “বৈষম্যের” অভিযোগ তুলে এই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দাবি করেন, দেশটিতে “হোয়াইট জেনোসাইড” চলছে—যা দক্ষিণ আফ্রিকা ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে ভিত্তিহীন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট দুঃখজনক হলেও এতে বৈঠকের লক্ষ্য বা কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। তিনি প্রতীকীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ আসনে খালি চেয়ার রেখেই সভাপতিত্ব হস্তান্তর করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, কেবল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কোনো নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতে পারেন।
সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ বহু বিশ্বনেতা।
রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, আর্জেন্টিনার জাভিয়ের মিলেই এবং নাইজেরিয়ার বোলা টিনুবু ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত নেই, তবে সবাই প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবার গ্লোবাল সাউথের অর্থনৈতিক ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট অগ্রাধিকারগুলো সামনে আনছে। আলোচনার মূল বিষয়গুলো হলো— দরিদ্র দেশগুলোর উন্নয়ন অর্থায়ন বৃদ্ধি, জলবায়ুজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বৈশ্বিক বিনিয়োগ বাড়ানো, উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বেশি জলবায়ু সহায়তা নিশ্চিত করা, ঋণ পুনর্গঠন ও ঋণ-সহনীয় ব্যবস্থার প্রসার, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের ন্যায্য ব্যবহার ও উৎস দেশের স্বার্থ রক্ষা।



