ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজামুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)-এর একাধিক নৌযান আটক করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বুধবার তারা “দ্য কনসায়েন্স” নামের একটি নৌযানে হামলা চালায়, যেখানে ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও কর্মী ছিলেন। পরে আরও তিনটি ছোট নৌকা আটক করা হয়। যাত্রীদের অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফএফসি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, “আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভাঙার আরেকটি ব্যর্থ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।” মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আটক যাত্রীরা নিরাপদে আছেন এবং দ্রুত তাদের দেশগুলোতে ফেরত পাঠানো হবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মালয়েশীয় কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেছেন। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স ও ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীরাও ফ্লোটিলায় ছিলেন।
এফএফসি জানায়, তাদের নৌযানগুলো গাজায় পাঠানোর জন্য প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, অক্সিজেন যন্ত্রপাতি ও খাদ্য সহায়তা বহন করছিল। সংস্থাটি আরও জানায়, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলের কোনো আইনি এখতিয়ার নেই। আমাদের ফ্লোটিলা শান্তিপূর্ণ ও মানবিক।”
এর কয়েক দিন আগেই ইসরায়েল “গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা” নামে আরেকটি সাহায্যবাহী বহর আটক করে, যেখানে প্রায় ৪৫০ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। পরে অধিকাংশকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়, যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গও ছিলেন।
সেই অভিযানে আটক কয়েকজন কর্মী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি-ফিলিস্তিনি সদস্য রিমা হাসান জানান, তাকে মারধর করা হয়েছিল। আমেরিকান কর্মী ডেভিড অ্যাডলার বলেন, তাকে “বস্ত্রহীন করা”, “হাত বাঁধা” ও “চোখ বেঁধে” রাখার পর জোরপূর্বক ছবি তোলা হয়েছিল ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের সঙ্গে।