গাজা সিটিতে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজার শুজাইয়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সৈন্যদের কাছাকাছি আসা কয়েকজনকে “হুমকি মনে করে” গুলি করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, নিহতদের সবাই সাধারণ বেসামরিক নাগরিক ছিলেন, যারা নিজেদের বাড়িঘর দেখতে এলাকায় ফিরেছিলেন।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার, মিশর ও তুরকিয়ার নেতাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মধ্যপ্রাচ্যে “দীর্ঘস্থায়ী শান্তি” প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে ১৫৪ জনকে মিশরে নির্বাসিত করা হয়েছে। অপরদিকে, হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং নিহত চারজনের মরদেহ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তবে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি কারাগারে তাদের নির্যাতন ও অপমান করা হয়েছে। এক সাবেক বন্দি ওফের কারাগারকে “একটি জবাইখানা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) এ লিখেছেন, “ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধবিরতির মানে হচ্ছে — ‘তুমি থামো, আমি গুলি করি’। একে শান্তি বলা হচ্ছে — যা একদিকে অপমান, অন্যদিকে প্রতারণা।”
তিনি আরও আহ্বান জানান, “ন্যায়বিচার, নিষেধাজ্ঞা, বিনিয়োগ প্রত্যাহার ও বয়কটের মাধ্যমে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব, বর্ণবৈষম্য ও গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।”
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭,৮৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৭০,১০৫ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন বন্দি হয়েছিল।



