বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন হরেক রকম সবজি। মৌসুমি এসব সবজি খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলো অনেকের জন্য হতে পারে বিপদের কারণ। যারা থাইরয়েড রোগী তাদের শীতকালীন সবজি খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
থাইরয়েড রোগীদের শীতকালীন ৪ সবজি এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
শীতকালীন কিছু সবজি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই থাইরয়েড রোগীদের শীতকালীন ৪টি সবজি এড়িয়ে চলা উচিত।
আজ শীতকালীন ৪ সবজি সম্পর্কে আপনাদের জন্য থাকছে তথ্য –
১. বাঁধাকপি: বাঁধাকপি গোইট্রোজেনিক উপাদান সমৃদ্ধ, যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা বাঁধাকপি বেশি ক্ষতিকর হতে পারে, তাই থাইরয়েড রোগীদের জন্য এটি খাওয়া পরিহার করা উচিত।
২. ব্রোকলি: ব্রোকলিতেও গোইট্রোজেনিক উপাদান থাকে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে এবং হরমোন উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।
৩. ফুলকপি: ফুলকপিও একই ধরনের গোইট্রোজেনিক প্রভাব তৈরি করতে পারে। কাঁচা ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো, কারণ এতে থাইরয়েডের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৪. মূলা: মূলা খাওয়ার অভ্যাসেও শরীর থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে আয়োডিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। যে কারণে থাইরয়েডের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
তাই থাইরয়েড রোগীরা বাঁধাকপি, ব্রোকলি, ফুলকপি ও মূলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি খেতে ইচ্ছা হয় উচ্চতাপে রান্না করে খান। কখনই এসব সবজি রান্না না করে সালাদ হিসেবে খাবেন না।
ডা. মোজাহিদুল হক
মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।



