২১ নভেম্বর ২০২৫, সময়: সকাল ১০:৩৮ মিনিট, ৫.৬ মাত্রার এই ভূমিকম্প ঢাকার জন্য একটি “ওয়েক আপ কল” হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ঘটনাটি মহানগরীর কাঠামোগত দুর্বলতা এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির অভাবকে পুনরায় সামনে এনেছে।
ঘনবসতি এবং সংকীর্ণ রাস্তা: ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। সরু গলি এবং অপরিকল্পিত ঘিঞ্জি বসতির কারণে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার অভিযান চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
দুর্বল ভবন নির্মাণ: রাজউকের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার বহু ভবন বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয়নি। যদিও ৫.৬ মাত্রায় সেগুলো ধসে পড়েনি, কিন্তু এই কম্পন তাদের কাঠামোগত ত্রুটি আরও স্পষ্ট করেছে, যা ভবিষ্যতে একটি বৃহত্তর ভূমিকম্পের (যেমন ৬.৯ বা ৭+ মাত্রা) জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
মাটির প্রকৃতি: ঢাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নরম পলিমাটির ওপর গড়ে উঠেছে, যা লিকুইফেকশনের (Liquefaction) জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। মাঝারি কম্পনও এই মাটিকে নরম করে দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে ভারী ভবনগুলোর স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
See less



