ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০২৫: নিজস্ব প্রতিবেদক
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) কর্তৃক সেন্টমার্টিন সংলগ্ন এলাকা থেকে জেলে অপহরণের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ উপকূলে মাছ ধরার সময় একটি ট্রলারসহ ৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ বড় একটি ঘটনায়, গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সাগরের ‘সীতা’ নামক এলাকা থেকে ৩টি মাছ ধরার ট্রলারসহ মোট ১৮ জন জেলেকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র ও ট্রলার মালিক সমিতি নিশ্চিত করেছে যে অপহৃত তিনটি ট্রলারের প্রতিটিতে ৬ জন করে জেলে ছিলেন। অপহৃত এই জেলেরা সবাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা।
ব্যাপক আতঙ্ক ও ধারাবাহিক অপহরণ
আতঙ্ক: এই ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।
পূর্বের পরিসংখ্যান: স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতির তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি কর্তৃক মোট ৩০০-এরও বেশি বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রম: অপহৃতদের মধ্যে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) প্রচেষ্টায় প্রায় ২০০ জেলেকে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও, এখনও অনেকে আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি রয়েছেন।
প্রশাসনের বক্তব্য
টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত বলে জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে জেলে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।”
অপহৃত জেলেদের দ্রুত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ট্রলার মালিক সমিতি ও জেলে পরিবারগুলো।



