তারিখ: ২১ নভেম্বর ২০২৫ (একটি অনুমান নির্ভর রিপোর্ট) সময়: সকাল ১০:৩৮ মিনিট (একটি অনুমান নির্ভর রিপোর্ট) মাত্রা: রিখটার স্কেলে ৫.৫ থেকে ৫.৭ (গড়ে ৫.৬) উৎপত্তিস্থল: নরসিংদী-গাজীপুর সংলগ্ন এলাকা (ঢাকা থেকে প্রায় ১৩-১৪ কিমি দূরে) গভীরতা: অগভীর
তাৎক্ষণিক প্রভাব ও জন-অভিজ্ঞতা
রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি মধ্যম মাত্রার হলেও, এর উৎপত্তিস্থল ঢাকার খুব কাছাকাছি (দেশের অভ্যন্তরে) এবং এটি ছিল অগভীর, যার ফলে ঢাকার বিশাল জনবসতি এবং দুর্বল অবকাঠামোর ওপর এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি অনুভূত হয়।
আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা: অফিস, আদালত ও আবাসিক এলাকাগুলোতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসে, যা শহরের সরু গলি এবং প্রধান সড়কগুলোতে মুহূর্তের জন্য ট্র্যাফিক জ্যাম ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। বহু বহুতল ভবনে থাকা মানুষ চরম উদ্বেগে ভোগেন।
আংশিক ক্ষতি: এই মাত্রার ভূমিকম্পে পুরোনো এবং দুর্বলভাবে নির্মিত কিছু ভবনে দেয়ালে ফাটল দেখা যায়। কিছু স্থানে কাঁচের জানালা ভেঙে পড়া বা আসবাবপত্র পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তবে সৌভাগ্যবশত, ব্যাপকহারে ভবন ধসের ঘটনা ঘটেনি।
যোগাযোগে বিঘ্ন: আতঙ্কের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করায় নেটওয়ার্কে তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে বেশ কিছু এলাকায় সাময়িকভাবে ফোন যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি: এই মাত্রার ভূমিকম্প সাধারণত মারাত্মক প্রাণহানি ঘটায় না। তবে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কিছু মানুষ আহত হন এবং কিছু সম্পত্তির সামান্য ক্ষতি হয়। এখন পর্যন্ত বড় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।



