ইসরাইলের রাজনৈতিক অঙ্গন কাঁপিয়ে দিয়েছে এক ফাঁস হওয়া ভিডিও, যেখানে ২০২৪ সালে স্ডে তেইমান সামরিক বন্দিশিবিরে এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে গণধর্ষণের দৃশ্য দেখা যায়। তবে আলোচনার মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ নয়, বরং ভিডিও ফাঁসের দায় স্বীকার করা ইসরাইলি সামরিক আইনজীবী মেজর জেনারেল ইফাত টোমের-ইরুশালমি।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই ফাঁসকে “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর প্রচারমূলক আক্রমণ” বলে মন্তব্য করেছেন। তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও টোমের-ইরুশালমির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ সৈন্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নরম করে “বন্দিকে গুরুতরভাবে নির্যাতন” ধারায় পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের পরিচয় গোপন রাখতে আদালতে মুখ ঢেকে হাজির করা হয়।
অন্যদিকে, মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতি ও ক্ষমতার লড়াইয়ের আড়ালে ধর্ষণের বিচার ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অনিশ্চিত।



