যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রথম পারমাণবিকচালিত সাবমেরিন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। এটি দুই মিত্র দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় এক বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই ঘোষণা আসে একদিন পর, যখন ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং গিয়ংজুতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) সম্মেলনের প্রান্তে বৈঠক করেন এবং বিনিয়োগ ও জাহাজ নির্মাণ বিষয়ক একটি বিস্তৃত চুক্তি সম্পন্ন করেন। ট্রাম্প জানান, চুক্তিটি “প্রায় চূড়ান্ত”।
ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ লিখেছেন,
“আমি দক্ষিণ কোরিয়াকে অনুমতি দিয়েছি পারমাণবিকচালিত সাবমেরিন নির্মাণের জন্য, যা তাদের বর্তমান ডিজেলচালিত সাবমেরিনের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত ও দ্রুতগামী।”
তিনি আরও বলেন,
“দক্ষিণ কোরিয়ার সাবমেরিনটি নির্মিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শিপইয়ার্ডে, যা আমেরিকান জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে।”
লি জে মিয়ং ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বলেন,
“আমরা পারমাণবিক অস্ত্রবাহী নয়, বরং পারমাণবিকচালিত সাবমেরিন নির্মাণের অনুমতি চাইছি, কারণ ডিজেলচালিত সাবমেরিনগুলো পানির নিচে দীর্ঘ সময় থাকতে পারে না এবং উত্তর কোরিয়া বা চীনের সাবমেরিন ট্র্যাক করা কঠিন হয়।”
বৈঠকের পর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে পরিবেশিত মিষ্টান্নে “PEACE!” শব্দটি লেখা ছিল — যা দুই নেতার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি “শান্তির রক্ষক ও অগ্রদূত” হিসেবে তাদের ভূমিকার প্রতীক বলে জানিয়েছে সিউলের প্রেসিডেন্ট অফিস।
তবে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা এখনও তীব্র, কারণ পিয়ংইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সফরে তিনি কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক আয়োজন করতে পারেননি, যা সম্ভাব্য এক নতুন শীর্ষ বৈঠক নিয়ে চলা জল্পনাকে শেষ করেছে।
এই সফরে ট্রাম্পকে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা “গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহওয়া” ও প্রাচীন সিলা সাম্রাজ্যের সোনার মুকুটের প্রতিরূপ উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া ট্রাম্পের পছন্দ অনুযায়ী খাবার — আমেরিকান গরুর মাংস, কেচাপ এবং “গোল্ডেন ব্রাউনি” — দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করা হয়।



