ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০২৫: নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগকে (Pentagon) অবিলম্বে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়া ও চীনের সক্ষমতার সঙ্গে “সমান অবস্থানে” থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে বলেন,
“অন্যান্য দেশের পরীক্ষার কারণে আমি প্রতিরক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করে। এই প্রক্রিয়া এখনই শুরু হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে আছে, আর চীন অনেক পিছিয়ে তৃতীয়। তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা সমান হয়ে যাবে।”
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার জানিয়েছেন যে রাশিয়া সফলভাবে Poseidon নামের একটি পারমাণবিক চালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই টর্পেডো উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয় সুনামি তৈরি করতে সক্ষম।
এর আগে অক্টোবরের ২১ তারিখে রাশিয়া Burevestnik নামের পারমাণবিক চালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় এবং ২২ অক্টোবর পারমাণবিক হামলার অনুশীলন করে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু কৌশলে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটি সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল ১৯৯২ সালে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন কোনো অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই এবং পুরনো অস্ত্রের সক্ষমতা বজায় আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তবে একই সঙ্গে এটি রাশিয়া ও চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তি প্রদর্শনের এক ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে নিউ মেক্সিকোর আলামোগোর্ডোতে প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার মাধ্যমে পারমাণবিক যুগের সূচনা করেছিল এবং আগস্টে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা নিক্ষেপ করেছিল।



