ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫: নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একটি মৃত্যুপথযাত্রী তারার (Star) ভেতরের স্তরগুলো পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন, যাতে মহাজাগতিক বিবর্তন সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
তারা সাধারণত লক্ষ-কোটি বছর পর্যন্ত জ্বলে, যতক্ষণ না তাদের জ্বালানি শেষ হয়। বিশাল তারাগুলো জ্বালানি শেষ হলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে — যাকে সুপারনোভা বলা হয় — তাদের জীবন শেষ করে।
গভীর মহাকাশে দৃষ্টিপাতকারী শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে বিজ্ঞানীরা আগে অনেক সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তবে সাধারণত এসব বিস্ফোরণে তারার বিভিন্ন স্তর একে অপরের সঙ্গে মিশে যায়, ফলে তারার অভ্যন্তরীণ গঠন বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু এবারকার পর্যবেক্ষণে বিষয়টি ছিল ভিন্ন। ২০২১yfj নামে পরিচিত এক সুপারনোভা, যা পৃথিবী থেকে ২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, সেখানে বিজ্ঞানীরা তারার অভ্যন্তরীণ গঠন স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছেন।
গবেষকরা জানান, ওই তারার বাইরের হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের স্তর বহু আগে থেকেই খসে পড়েছিল— যা প্রত্যাশিত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের সময় তার ঘন অভ্যন্তরীণ স্তর— সিলিকন ও সালফার—-ও ছিটকে গেছে।
“আমরা এর আগে এতটা খোসামুক্ত কোনো তারা কখনও দেখিনি,” বলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্টিভ শুলৎসে, যিনি গবেষণা দলের সদস্য ছিলেন। এই গবেষণা Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এখনো স্পষ্ট নয়, কীভাবে এই তারাটি এতটা খসে পড়েছিল— এটি কি নিজেই বিস্ফোরিত হয়ে স্তরগুলো ছুড়ে ফেলেছিল, নাকি কোনো যুগল তারার আকর্ষণে সেই স্তরগুলো টেনে নেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ভবিষ্যতের গবেষণায় হয়তো এর আরও ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, যদিও এমন বিরল দৃশ্য আবার দেখা পাওয়া কঠিন হবে।



