গাজার ভবিষ্যৎ ও নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে হামাস নেতার বক্তব্য।
আল জাজিরা আরবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খালিল আল-হাইয়া গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা, সংগঠনের অস্ত্রনীতি এবং চলমান মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, হামাস গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব যেকোনো জাতীয় ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে কোনো আপত্তি নেই এবং সংগঠনটি সমগ্র ফিলিস্তিন জুড়ে নির্বাচনের পক্ষে।
অস্ত্র ত্যাগের প্রশ্নে আল-হাইয়া জানান, হামাসের অস্ত্র দখলদারিত্ব ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, “যেদিন দখল শেষ হবে, সেদিন এই অস্ত্র রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” এ বিষয়ে অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আল-হাইয়া আরও জানান, রোববার নতুন কিছু এলাকায় প্রবেশ করে কয়েকজন ইসরায়েলি বন্দির মৃতদেহ খোঁজা হবে।
তিনি বলেন, হামাস জাতিসংঘের বাহিনীকে সীমান্ত পর্যবেক্ষক এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আল-হাইয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার দাবি, গাজায় বর্তমানে যে পরিমাণ সাহায্য প্রবেশ করছে তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়। “গাজায় প্রতিদিন ৬,০০০ ত্রাণ ট্রাক প্রয়োজন, কিন্তু এখন মাত্র ৬০০ ট্রাক ঢুকছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েল এখনও ত্রাণ প্রবেশে বিলম্ব করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
আল-হাইয়ার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি আজ রাতেই আল জাজিরা আরবিতে সম্প্রচারিত হবে।



