১.
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নতুন পে স্কেলের খবর সামনে আসছে। শোনা যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের দুরবস্থার সময় সবার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, জাতীয় ন্যূনতম মঞ্জুরি নিশ্চিত করে আয় ও বেতন বৈষম্য কমিয়ে আনাই সময়ের দাবি । এই দাবি থেকে যাচ্ছে অনুচ্চারিত।
দিন দিন দারিদ্রতা বাড়ছে। কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন কর্মসংস্থান নেই। এই পরিস্থিতিতে বেতন বাড়ার খবর মুদ্রাস্ফীতি আরেকবার বাড়িয়ে দেবে কিনা সেটা সময় বলে দেবে।
২.
কথায় কথায় গণঅভ্যুত্থানের কথা বলা হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা তো ছিল বৈষম্যহীন সমাজ গড়া। শ্লোগানও উঠেছিল।
নতুন পে স্কেলে সরকার বৈষম্য দূর না করে আইনিভাবে বৈষম্যকেই বজায় রাখছে।
আর জাতীয় নূন্যতম মজুরির তো কোন খবর নেই।
৩.
বাজারে গেলে তো সবাইকে একই দামে চাল ডাল আলু পটল কিনতে হয়।
দেখুন প্রস্তাবিত বেতনে ১ম গ্রেড ও ২০ তম গ্রেডের বেতন বৈষম্য কেমন !
মূল বেতনে যে ধারায় বৈষম্য দেখবেন অন্যান্য প্রাপ্তিতেও কিন্তু একই রকম বৈষম্য থাকে। সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গাড়িতে চলা আর পায়ে হেঁটে চলা এই ধারাই থেকে যাচ্ছে।
জানা গেছে প্রস্তাবিত গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের মূল বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৪ টাকা ।
গ্রেড-২০ এর কর্মকর্তাদের ১৫ হাজার ৯২৮ টাকা।
অর্থাৎ উপরে বেতন পাবেন দেড় লাখ টাকা।
আর নিচে বেতন ১৬ হাজার টাকা।
৪.
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর থেকেই আমরা দাবী করে আসছিলাম বেতনের অনুপাত ১: ৫ এর বেশি হবে না। ধীরে ধীরে এটা আরো কমিয়ে আনতে হবে।
আর এখন জাতীয় ন্যূনতম মুজরি ৩০০০০ টাকা প্রায় সবাই দাবি করে আসছেন।
তাই নিচের গ্রেডের বেতন অন্ততপক্ষে ৩০ হাজার টাকা প্রস্তাব করাই ছিল ন্যায় সঙ্গত।
৫.
এসব কথা কাকেইবা বলবো।
সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত হয়তো এই কথা মূল্যহীন।
তারপরও এসব দাবিতে আমাদের সবার কন্ঠ সোচ্চার করা দরকার।
ধন্যবাদ।



