ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি আজ মঙ্গলবার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে শুরু করেছেন। লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আধুনিক ফরাসি ইতিহাসে সারকোজি হচ্ছেন প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটির ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আদালত সেপ্টেম্বরে তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেন, যার মধ্যে দুই বছর স্থগিত।
লা সান্তে কারাগারে সারকোজিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাধারণ বন্দিদের থেকে আলাদা রাখা হচ্ছে। ৯ থেকে ১২ বর্গমিটারের কক্ষে তিনি থাকবেন, যেখানে ব্যক্তিগত গোসলখানা থাকবে। প্রতি মাসে ১৪ ইউরো ফি দিয়ে তিনি টেলিভিশন দেখতে পারবেন এবং ল্যান্ডলাইন ফোন ব্যবহারের সুযোগও পাবেন।
একজন প্যারিস আদালতের বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, অপরাধটি “জনশৃঙ্খলার গুরুতর ব্যাঘাত” ঘটিয়েছে, তাই আপিলের আগে থেকেই সাজা কার্যকর করা হচ্ছে।
তবে সারকোজি নিজের নির্দোষিতা দাবি করে বলেন, “আমি কারাগারকে ভয় পাই না। আমি মাথা উঁচু করে যাব, এমনকি কারাগারের ফটকেও।”
সারকোজির ছেলে লুই সারকোজি মঙ্গলবার সকালে প্যারিসের অভিজাত এলাকায় বাবার সমর্থনে এক সমাবেশের আহ্বান জানান। ফ্রান্সের ডানপন্থী মহলে এখনো সারকোজি “অগ্রাহ্য ব্যক্তিত্বে” পরিণত হননি, বরং অনেকে তার প্রতি সহানুভূতিশীল অবস্থান বজায় রেখেছেন।
সারকোজি হচ্ছেন দ্বিতীয় ফরাসি নেতা, যিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে যাচ্ছেন। এর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাজি সহযোগী মার্শাল ফিলিপ পেতাঁ-কেও কারাবাসের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।



