গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৪৭ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। এসব হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণের ঘটনায় আবু শাবান পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিন নারী রয়েছেন। তারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দেখতে ফিরছিলেন বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স। এটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক হামলা।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় মোট ৩৮ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে আবু শাবান পরিবারের ১১ সদস্য রয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েল ১৫টি ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যা নিয়ে যুদ্ধবিরতির আওতায় ফেরত পাওয়া মোট মরদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫-এ। হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তারা আরও দুইজন ইসরায়েলি বন্দির মৃতদেহ উদ্ধার করে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলে হস্তান্তর করেছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, গাজা ও মিশরের সংযোগস্থল রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।” তিনি অভিযোগ করেছেন, হামাস বন্দিদের মরদেহ ফেরত আনতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
হামাস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, নেতানিয়াহু “অযৌক্তিক অজুহাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন।



