আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হয় এবং সীমান্তের উভয় পাশে শত শত বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিটি বুধবার সন্ধ্যা ৬টা (ইসলামাবাদ সময়) থেকে কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশই দাবি করছে—অন্য পক্ষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, “এই সময়ে উভয় পক্ষই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে জটিল কিন্তু সমাধানযোগ্য এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজবে।”
কাবুলে তালেবান সরকার তাদের সেনাদের নির্দেশ দিয়েছে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে, তবে সতর্ক করেছে—“যদি পাকিস্তান লঙ্ঘন করে, তবে জবাব দেওয়া হবে।”
গত সপ্তাহজুড়ে সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ চলছিল। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা কাবুল অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আফগান যোদ্ধারা দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে দুটি পোস্টে হামলা চালায়, যা প্রতিহত করা হয়েছে। স্পিন বলদাক এলাকায় প্রায় ২০ তালেবান নিহত হয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের।
অন্যদিকে, তালেবান জানায়, ওই এলাকায় ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সৈন্য নিহত হয়েছে এবং তাদের অস্ত্র দখল করা হয়েছে—যা পাকিস্তান “অবাস্তব ও মিথ্যা” বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তালেবান জানায়, পাকিস্তানি বিমান হামলার প্রতিশোধেই তারা সীমান্তে অভিযান শুরু করে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি সাময়িক স্বস্তি আনলেও স্থায়ী সমাধান পেতে দুই দেশের মধ্যে আস্থাভিত্তিক সংলাপই এখন সবচেয়ে জরুরি।



