গাজায় অস্ত্রবিরতির পরও ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছেন। ইসরায়েলি সেনাদের প্রাক্তন সদস্যদের সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স জানিয়েছে, গাজায় এমন এক “হলুদ রেখা” অতিক্রম করায় মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে—যে সীমারেখা সম্পর্কে অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক কিছুই জানেন না। তারা বলেছে, সেই রেখাটি কেবল মানচিত্রে বিদ্যমান, মাটিতে নয়।
অস্ত্রবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ৪ অক্টোবর প্রকাশিত একটি মানচিত্রে এই এলাকাগুলোকে “হলুদ রেখা” দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যা এখন ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নির্দেশ করে।
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স জানিয়েছে, গাজায় অনেক মানুষ অজান্তেই ওই রেখার ভেতরে প্রবেশ করে গুলিতে নিহত হচ্ছেন। তারা বলেছে, “মানুষদের এমন একটি সীমা লঙ্ঘনের দায়ে হত্যা করা হচ্ছে, যার অস্তিত্ব তারা জানেই না।”
এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা বুধবার রাতে হামাসের কাছ থেকে দুটি মৃতদেহ গ্রহণ করেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে নিহত ইসরায়েলি নারী ইনবার হাইমান এবং সেনা সদস্য মুহাম্মদ এল-আত্রাশ।
ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, হামাস যদি সব মৃত বন্দির দেহ ফেরত না দেয়, তবে অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ “ভয়াবহ ও জটিল” প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শারেন হাসকেল আশা প্রকাশ করেছেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জার্মানি ইসরায়েলের ওপর আরোপিত আংশিক অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং দেশটির ভ্রমণ সতর্কতা শিথিল করবে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য এলি চাউনস ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক নেতা মারওয়ান বারঘুতির মুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “তিনি ফিলিস্তিনিদের ঐক্যের এক শক্তিশালী কণ্ঠ।”



