সততার কণ্ঠ, তথ্যের শক্তি

Sunday, November 23, 2025

ব্রেকিং নিউজ

ন্যায়-বিচার সেনাবাহিনীর মর্যাদা-সুরক্ষা দেবে – আ স ম রব

নিজস্ব প্রতিবেদক

​আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের
ন্যায়-বিচার সেনাবাহিনীর মর্যাদা-সুরক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব

সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক বিবৃতি প্রদান করেন।

আ স ম আব্দুর রব বলেন, চিহ্নিত অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই হবে সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।ন্যায়-বিচার সেনাবাহিনীর মর্যাদা-সুরক্ষার জন্য জরুরী। কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিচ্ছিন্ন অপকর্মের দায়ভার কোনোভাবেই সমগ্র প্রতিষ্ঠানের নয়।

আ স ম রব বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, কোনো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অপরাধীদের প্রশ্রয় দিলে তা সমগ্র কাঠামোর ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যে-ধরনর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের (যেমন—গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) অভিযোগ উঠেছে এবং যার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করেছে, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, এর নেতিবাচক প্রভাব সমগ্র প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী, সুরক্ষিত ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে, ব্যক্তিবিশেষের অপরাধের প্রতি ‘শূন্য সহনশীলতা’ (Zero Tolerance) নীতি অবলম্বন করতে হবে।

জাসদ নেতা আরও বলেন, ​আমাদের সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতি প্রত্যাশা করে—যে-কোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী তার পেশাদারিত্ব, কঠোরশৃঙ্খলা এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব অক্ষুণ্ণ রাখবে। সামরিকবাহিনী একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বদা দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে এবং কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থ ও আইনের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে।

এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে সেনাবাহিনীকে আরও বেশি করে পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে রব বলেন, যাতে কোনো সরকার বা ব্যক্তি ভবিষ্যতে একে গুম, খুন বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার সুযোগ না পায়।

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর বিকাশ কেবল সামরিক শক্তিতে নয়, বরং মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের প্রতি তার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হবে। ​সামরিক বা বেসামরিক—কোনো ব্যক্তিই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।

spot_imgspot_img

সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন: যুক্তরাষ্ট্রের বয়কটের মধ্যেও বিশ্বনেতাদের সমাগম।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী জি-২০...

সাইরাস সিলিন্ডার: বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি।

২,৫০০ বছর পুরোনো মাটির তৈরি সাইরাস সিলিন্ডারকে বিশ্বের অন্যতম...

ট্রাম্প প্রশাসনের ২৮ দফা ইউক্রেন পরিকল্পনা প্রকাশ: ভূখণ্ড ছাড় ও ন্যাটো পরিত্যাগে চাপ, সমালোচনার ঝড়

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত...

ভূমিকম্পে ঢাকার দুর্বলতা এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণ

২১ নভেম্বর ২০২৫, সময়: সকাল ১০:৩৮ মিনিট, ৫.৬ মাত্রার...
spot_img

এই সপ্তাহে আলোচিত

spot_img
spot_imgspot_img