আফগানিস্তানে ৩০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা, জাতিসংঘের ১৬.৬ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা।
আফগানিস্তান গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি হয়েছে। চলতি শীতে দেশটিতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের অর্ধেকেরও কম বৃষ্টি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আফগানিস্তানের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল, ফলে এই খরা সরাসরি খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ ১৬.৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে, যা উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলো—ফারিয়াব, সার-ই-পুল, তাখার ও বাদাখশানে ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে ৬.৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড থেকে এবং ১০ মিলিয়ন ডলার আফগানিস্তান হিউম্যানিটারিয়ান ফান্ড থেকে।
সহায়তাটি খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, পশুপালন, স্বাস্থ্য, পানি ও স্যানিটেশন, পুষ্টি এবং সুরক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় কর্মকর্তা ইন্দ্রিকা রাটওয়াটে বলেন, “এখন বিনিয়োগ করা প্রতিটি ডলার ভবিষ্যতে আরও জীবন বাঁচাবে।”
আফগানিস্তান টানা চতুর্থ বছরের মতো খরার সম্মুখীন। বর্তমানে দেশের ২৫টি প্রদেশে “গুরুতর” বা “বিপর্যয়কর” খরা চলছে, যা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করছে। প্রায় ২.৩ কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয় অবস্থায় রয়েছে, এবং ৩.৫ মিলিয়ন নারী ও শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।



