যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি আদালত ক্যান্সারে আক্রান্ত এক নারীর পরিবারকে ৯৬৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন (J&J)-কে। আদালত রায়ে বলেছে, কোম্পানির ট্যালকম পাউডার পণ্যে থাকা অ্যাসবেস্টস ফাইবার ২০২১ সালে মারা যাওয়া মে মুর-এর বিরল ক্যান্সার মেসোথেলিওমা রোগের কারণ ছিল।
রায় অনুযায়ী, কোম্পানিকে ১৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ এবং ৯৫০ মিলিয়ন ডলার শাস্তিমূলক জরিমানা দিতে হবে। যদিও এই পরিমাণ আপিলে কমে যেতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সাধারণত শাস্তিমূলক জরিমানাকে ক্ষতিপূরণের নয় গুণের বেশি অনুমোদন করে না।
জনসন অ্যান্ড জনসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক হাস এই রায়কে “অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক” বলে মন্তব্য করেছেন এবং আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মামলার আইনজীবীরা “ভুয়া বিজ্ঞান” ব্যবহার করে জুরিকে বিভ্রান্ত করেছেন। কোম্পানিটি সবসময় দাবি করে এসেছে যে তাদের ট্যালকম পাউডার নিরাপদ, এতে অ্যাসবেস্টস নেই এবং এটি ক্যান্সারের কারণ নয়।
এটি জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে প্রথম রায় নয়। ২০১৬ সালে মিসৌরির এক আদালত ডিম্বাশয় ক্যান্সারে মারা যাওয়া এক নারীর পরিবারকে ৭২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল। ২০২৪ সালে ৪৩টি অঙ্গরাজ্যের যৌথ তদন্তের পর কোম্পানিটি ৭০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে মামলাগুলোর মীমাংসা করেছিল।
জনসন অ্যান্ড জনসন ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ট্যালকম পাউডার বিক্রি বন্ধ করে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক পাউডারে রূপান্তর সম্পন্ন করে। বর্তমানে কোম্পানিটি প্রায় ৬৭,০০০ মামলা মোকাবিলা করছে, যেগুলোর অধিকাংশে অভিযোগ রয়েছে যে তাদের পণ্য ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীরা ডিম্বাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
মে মুরের পরিবারের আইনজীবী ট্রে ব্রানহাম বলেন, “আমরা আশা করি জনসন অ্যান্ড জনসন অবশেষে এই অপ্রয়োজনীয় ও মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য দায় স্বীকার করবে।”