মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। মিশরের শার্ম আল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত পরোক্ষ আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষে এই দাবি জানিয়েছে দলটি।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ফাওজি বারহুম আল জাজিরাকে বলেন, “আমাদের আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধের অবসান এবং দখলদার সেনাবাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার।” তিনি আরও জানান, বন্দিদের মুক্তি ধাপে ধাপে হবে এবং তা ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত থাকবে।
একজন হামাস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মঙ্গলবারের আলোচনায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির সময়সূচি ও সেনা প্রত্যাহারের মানচিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হামাসের দাবি, শেষ ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির সঙ্গে শেষ সেনাদল প্রত্যাহার ঘটতে হবে।
হামাসের শীর্ষ আলোচক খালিল আল-হাইয়া মিশরের রাষ্ট্র-সংযুক্ত আল কাহেরা নিউজকে বলেন, “আমরা দখলদারদের এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস করি না। যুদ্ধ শেষের বাস্তব নিশ্চয়তা চাই, কারণ ইসরায়েল এর আগেও দুটি যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে।”
অন্যদিকে, যুদ্ধ শুরুর দুই বছর পূর্তিতে বিবৃতি দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “এটি আমাদের অস্তিত্ব ও ভবিষ্যতের জন্য একটি যুদ্ধ।” তিনি ইঙ্গিত দেন যে ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্যগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে—যার মধ্যে রয়েছে সব বন্দিকে ফেরত আনা, হামাসের শাসন বিলুপ্ত করা এবং গাজা যেন ইসরায়েলের জন্য আর হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও বুধবার থেকে আলোচনায় যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে বলেন, “গাজা চুক্তির একটি বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে,” তবে তাঁর পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি।
সর্বশেষ আলোচনার পরিসমাপ্তিতে স্পষ্ট হয়েছে যে হামাস যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো বন্দি বিনিময় বা নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয়।