ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গাজায় সহায়তা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা “গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা”র জাহাজগুলো আটক করে ১৭১ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ ১৬১ জন গ্রিসে পৌঁছান বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
থানবার্গ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, “গাজায় গণহত্যা চলছে, আর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের ব্যর্থ করছে।” তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক থাকার সময় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তুর্কি সাংবাদিক এরসিন সেলিক জানান, থানবার্গকে “মাটিতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়” এবং “ইসরায়েলি পতাকায় চুমু দিতে বাধ্য করা হয়।”
ফ্রান্সের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসানও জানান, তাকে আটক অবস্থায় ইসরায়েলি পুলিশ মারধর করেছে। অন্যান্য কর্মীরাও বলেন, তাদের “পশুর মতো” আচরণ করা হয়েছিল, খাবার ও পানি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল, কেউ কেউ টয়লেটের পানি খেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ইতালীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, আটক অবস্থায় ওষুধ দেয়া হয়নি, টাকা ও জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়, এবং বন্দীদের “বানরের মতো” অপমান করা হয়।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে রওনা হওয়া এই ফ্লোটিলার জাহাজগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করে। শনিবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছানো ১৩৭ জন কর্মীর মধ্যে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশা, কুয়েত, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন। ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, মোট ৪৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব অভিযোগকে “মিথ্যা” বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, “আমি গর্বিত যে আমরা ফ্লোটিলা কর্মীদের কঠোরভাবে আচরণ করেছি। যারা সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে, তারা সন্ত্রাসী।”
ঘটনাটি নিয়ে তুরস্ক, পাকিস্তান, কলম্বিয়া ও গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।