মরক্কোর আজিলাল অঞ্চলে শিসভিত্তিক প্রাচীন ভাষা রক্ষার লড়াই
মরক্কোর আজিলাল অঞ্চলের পাহাড়ি উপত্যকায় এখনো প্রতিধ্বনিত হয় এক বিশেষ ভাষার শব্দ—যা কথার পরিবর্তে শিসে প্রকাশ করা হয়। স্থানীয়রা একে তাঁদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছেন।
গ্রামের মানুষজন জানান, এই ভাষা শিখে নেওয়া হয় যেমন হাঁটা বা কথা বলা শেখা হয়—একেবারেই স্বাভাবিকভাবে। এর মূলনীতি সরল: যে শব্দ মুখে বলা যায়, তা শিসে রূপান্তর করা হয়। তবে বোঝা ও বোঝানো পুরোপুরি নির্ভর করে অনুশীলনের উপর।
প্রাচীনকাল থেকেই পাহাড়ি যাযাবর রাখালরা এই ভাষা ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, কারণ শিসের ধ্বনি দূরে পর্যন্ত ভেসে যায়। ফলে গভীর উপত্যকা বা দীর্ঘ দূরত্বেও সহজে বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হতো।
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে এই ঐতিহ্য ধীরে ধীরে বিলুপ্তির মুখে। তবু স্থানীয়রা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে এই শিসভাষা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁদের বিশ্বাস, এটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং তাঁদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ভাষা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত বিরল, এবং সংরক্ষণ করা গেলে এটি মানবসভ্যতার জন্য এক মূল্যবান সাংস্কৃতিক সম্পদ হয়ে থাকবে।