গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজগুলোকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েলি সেনারা। সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, অন্তত ২৬টি জাহাজ এখনও গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেগুলো উপকূল থেকে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যে অন্তত ১৩টি জাহাজ অপহরণ করেছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল। আটক হওয়া জাহাজগুলোতে অন্তত ৩৭ দেশের ২০১ জন কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন অন্তর্ভুক্ত। ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক সকালে জানিয়েছিল যে, প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনও ইসরায়েলি বাহিনীকে এড়িয়ে গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনি নেতা হানান আশরাওয়ি বলেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ একটি “অপরাধমূলক জলদস্যুতা”। তিনি একে “গণহত্যা ও অবৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিরোধ” বলে বর্ণনা করেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে—আঙ্কারা, মেক্সিকো সিটি, বোগোটা, বুয়েনস আইরেস এবং মাদ্রিদে মানুষ ইসরায়েলের পদক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলের কূটনৈতিক মিশন বহিষ্কার করেছেন এবং এটিকে “নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইসরায়েলের পদক্ষেপকে “নিরস্ত্র নাগরিক ও মানবিক সরবরাহের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও জবরদস্তি” বলে নিন্দা করেছেন।
গাজার মানবিক সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক হিসেবে সুমুদ ফ্লোটিলার যাত্রা চলমান। ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও এখনও কয়েক ডজন জাহাজ গাজা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং আন্তর্জাতিক মহল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।