নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, জেলা প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলী আরোপ করেছে। এই শর্তগুলো মেনেই ভ্রমণকারীদের কেওক্রাডং-এ যেতে হবে।
১. সীমাবদ্ধ এলাকায় ভ্রমণ: রুমা উপজেলার যে সকল পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে, সেসব স্থান ব্যতীত উপজেলার অন্য কোনো জায়গায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
২. নিবন্ধিত গাইড: জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ট্যুর গাইড ছাড়া কোনো পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন না।
৩. তথ্য সরবরাহ: পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট ও তথ্য সেবাকেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের চাহিত সব তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।

৪. যানবাহন ফিটনেস: পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী ও ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন উল্লিখিত পর্যটন কেন্দ্রসমূহে চলাচল করতে পারবে না।
৫. পর্যটন সংস্থার দায়বদ্ধতা: শর্ত বা নির্দেশনাবলী অমান্য করে কোনো অযাচিত ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পর্যটন শিল্পের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
৬. জরুরী সহযোগিতা: কোনো নির্দেশ অমান্য করা হলে তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে।
এই কঠোর শর্তগুলো বজায় রেখে বাংলাদেশের অন্যতম উঁচু এই পর্বতশৃঙ্গটি তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য নিয়ে আবার ভ্রমণপিপাসুদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে, নাফাখুম, রেমাক্রির মতো অন্যান্য জনপ্রিয় স্পটগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি এখনও প্রশাসনের বিবেচনাধীন রয়েছে।