ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার গাজায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ রাফায় গুলিবিনিময়ের পর “শক্তিশালী হামলার” নির্দেশ দেওয়ার পর এসব আক্রমণ চালানো হয়। এতে এক ইসরায়েলি সৈন্য আহত হন।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা বলে মনে করা হচ্ছে। হামাস ইসরায়েলকে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এক বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তর স্থগিত করেছে।
গাজা সিটির সাবরা এলাকায় একটি ভবনে হামলায় অন্তত চারজন নিহত হন, এবং খান ইউনুসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আল-শিফা হাসপাতালের কাছেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যা আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ওয়াশিংটনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো “বজায় আছে”, যদিও ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটছে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা “যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রকাশ্য লঙ্ঘন” এবং এর ফলে বন্দিদের মৃতদেহ উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দুর্বল করতে ধারাবাহিক উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর চাপের কারণে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা এখনই কম।



