ভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর, কাবিখা, কাবিটা) প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কাগজে-কলমে শতভাগ কাজ শেষ দেখানো হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রকল্পে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাজ হয়েছে, কোথাও আবার একেবারেই হয়নি। অথচ পুরো টাকাই উত্তোলন করা হয়েছে।
চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের একটি সড়কে পাঁচ লাখ টাকার মাটি ফেলার প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও সেখানে এক ঝুড়িও মাটি ফেলা হয়নি। আহাম্মদ ইউনিয়নের একাধিক প্রকল্পে বরাদ্দ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যরা জানেনই না, তাঁদের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প দেখানো হয়েছে। যেসব রাস্তায় কাজ হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে সামান্য মাটি ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই পুরোনো রাস্তা বেরিয়ে এসেছে। এ যেন প্রকল্প নয়, জনগণের টাকায় লুটপাটের এক বৈধ আয়োজন।